দিনাজপুর সদরের মুরগির ফার্মের দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস হওয়ায় এলাকাবাসীর অভিযোগ উঠেছে
মোঃ মোকাররম হোসেন দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৫ নং শশড়া ইউনিয়ন পরিষদ এর ৩ নং ওয়ার্ডের ফুলতলা বাজার পেট্রোল পাম সংলগ্ন মহতুল্লাহপুর হাজীপাড়া গ্রামের মো ইরফান আলীর পুত্র মো ইউসুফ আলী। মেসার্স ইউসুফ পোল্ট্রি ভান্ডার প্রোপাইটার মো ইউসুফ আলী তিনি পেশায় একজন খামারি ও ব্যবসায়ী। এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন যাবত পেশী শক্তি এবং অর্থের জোরের ক্ষমতা দেখিয়ে এলাকার কোন মানুষকে তোয়াক্কা না করেএই মুরগির ফার্মটি অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসসেন। এছাড়াও স্থানীয় সূত্র আরো জানা যায় যে সরকারি নীতিমালা কে ভঙ্গ করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বিহীন একটি মুরগির ফার্মের দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী ও পথচারীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে
উক্ত মুরগির ফার্মটি বন্ধ করা কিংবা অন্যত্র জায়গায় সরিয়ে নেয়ার জন্য দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তর কোতয়ালী থানা এবং ৫ নং শশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহেবদের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেও ভুক্তভোগী মোঃ হামিদুর রহমান উক্ত স্বর্ণালী মুরগির ফার্মটি সরানোর জন্য কোন সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্ট সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন মহতুল্লাহপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ হামিদুর রহমান। উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় পুনরায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। অনিবন্ধিত মুরগির ফার্মের মালিক মেসার্স ইউসুফ পোল্টি ভান্ডার এর প্রোপাইটার মোঃ ইউসুফ আলী।
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই নিজ ক্ষমতা দেখিয়ে অবৈধভাবে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তুলেছেন এই মুরগির ফার্ম। ফলে দিনদিন ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষ। পশ্চিমা বাতাসে যেনো নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে এই দুর্গন্ধে ভুক্তভোগীর হামিদুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া আশা সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারী সদস্যরা এবং গ্রামের লোকজন সহ ইউসুফ আলীকে মুরগির ফার্মটি বন্ধ করা বা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলিলে ইউসুফ আলী হামিদুরের উপরে ক্ষিপ্ত হইয়া এবং ভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি, হুমকি প্রদান করেন। এছাড়াও গ্রামবাসী মসজিদ কমিটিকে ভাড়াটিয়াকে তুলিয়া দোয়ার জন্য বলিলে মসজিদ কমিটি আমার বিষয়টি এড়িয়ে যায়। ইউসুফ আলী তার নিজের ইচ্ছামত উক্ত মসজিদ কমিটির জায়গার উপরে মুরগির ছেটে মুরগির লালন পালন ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। ইউসুফ আলীর মুরগির সেডের ময়লা, আবর্জনা ,পায়খানা, পাখার দুর্গন্ধে এলাকাবাসীরা বিভিন্ন রোগে ভুগিতেছেন। খামারী ইউসুফ আলী এইভাবে এলাকায় মুরগির সেডে মুরগি লালন পালন ও ব্যবসা করিয়া আসিতে থাকিলে গ্রামের লোকজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে ও পারে। ভুক্তভোগী মোঃ হামিদুর রহমান ও তার পরিবার সেই সাথে এলাকাবাসী জানান দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট আমাদের দাবি উপরের উল্লেখিত বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে মুরগির ফার্মটি অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে দিয়ে পরিবেশ মুক্ত করা হোক।
কোন মন্তব্য নেই