ওয়ায়েস কুরুনী,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর পরিচয় দিয়ে দোকান মালিকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করার অভিযোগে এক ভুয়া প্রকৌশলীকে স্থানীয় জনতা আটক করেছে। এ ঘটনায় আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে নবাবগঞ্জ থানাধীন ৫নং পুটিমারা ইউনিয়নের দলারদরগা বাজার এলাকায়, বিরামপুর-ঘোড়াঘাটগামী হাইওয়ে সড়কে।
আটককৃত ব্যক্তি হলেন মোঃ রেজাউল করিম (৫৪), সহকারী শিক্ষক, ব্যাপারীটোলা উচ্চ বিদ্যালয়, বিরামপুর। পলাতক আসামীরা হলেন মোঃ মোরশেদ আলম ওরফে ডাবলু (৪০) এবং মোঃ শাহিন মিয়া (৩৮), এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪–৫ জন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেদের সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মচারী পরিচয় দিয়ে দলারদরগা বাজার সংলগ্ন হাইওয়ে রাস্তার সীমানা পরিমাপের নাটক চালায়। তারা দোকান মালিকদের জানায়, দোকানগুলো সরকারি রাস্তার জায়গায় অবস্থিত এবং অচিরেই ভেঙে ফেলা হবে। পরে গোপনে অর্থের বিনিময়ে দোকান রক্ষা করার অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
বাজারের দোকান মালিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে স্থানীয় জনতা ভুয়া প্রকৌশলী সন্দেহে মোঃ রেজাউল করিমকে আটক করে। এ সময় অন্য আসামীরা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল করিম নিজের প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগ, ফুলবাড়ী সড়ক উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তাওহীদ-উর-রহমান বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন এসআই (নিঃ) ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা।

0 মন্তব্যসমূহ