জুমারপাড়ার ভিতরের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, নেই কোনো উন্নয়ন—আছে শুধু প্রতিশ্রুতি

জাকারিয়া আল ফয়সাল, স্টাফ রিপোর্টার:

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার জুমারপাড়া গ্রামের বিভিন্ন ভেতরের রাস্তার বেহাল দশা স্থানীয় জনগণের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্ষা এলেই এসব কাঁচা রাস্তা রূপ নেয় কাদা-পানির কর্দমাক্ত পথে। প্রতিদিন এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে—বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী নারী কেউই বাদ যাচ্ছে না এই দুর্দশা থেকে।

গ্রামবাসীরা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটুপানি জমে যায়। বড় বড় গর্তে আটকে পড়ে সাইকেল-রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। ঘর থেকে বের হওয়ার আগেই শুরু হয় চিন্তা—কীভাবে চলবে, পড়ে যাবে না তো?

জুমারপাড়া গ্রামের এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে মেরামতের অভাবে সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী বলছেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক শিশু স্কুলে যায়। তাদের চলাফেরায় মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়।

একজন গৃহবধূ বলেন,“বর্ষাকালে বাইরে যাওয়া মানেই কাদায় পড়ে যাওয়া। বাচ্চারা বই নিয়ে পড়ে যায়, অনেক সময় অসুস্থ হয়। এত কষ্ট করে জীবন চালাতে হচ্ছে।”

একজন যুবক বলেন,“রাস্তা নিয়ে অনেকবার বলেছি, কোনো লাভ হয়নি। শুধু আশ্বাসই পাই, কাজ কিছুই হয় না।”

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের মেম্বার মো. বকুল বলেন,“রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে আমি জানি। অনেকবার মেরামতের চেষ্টা করেছি, বরাদ্দ হলে কাজ হবে।”

তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, মো. বকুল দীর্ঘদিন ধরেই একই কথা বলছেন—“কাজ হবে”, “বরাদ্দ আসবে”—কিন্তু বাস্তবে আজও কোনো উন্নয়ন হয়নি। শুধু কথা দিয়ে সময় পার করে দিচ্ছেন।

গ্রামের মানুষদের কথায়,“প্রতিবার ভোটের আগে রাস্তা নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি আসে। ভোট গেলে সবাই চুপ। বছরের পর বছর ধরে আমরা কাদা মাড়িয়ে পথ চলছি, যেন আমাদের জীবনের কোনো দাম নেই।”

সবশেষে স্থানীয়দের দাবি, শুধু মাটি আর কাদার উপর দিয়ে চলা নয়, আমাদের বাঁচার জন্য একটি চলার উপযোগী রাস্তা চাই। উন্নয়ন চাই কথায় নয়, কাজে।