নবাবগঞ্জে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবী, ধর্ষণের পর শিশু হত্যা: ৩ আসামী গ্রেফতার

 


নিজস্ব প্রতিবেদক 

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে হৃদয়বিদারক এক ঘটনায় ১৮ মাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবী, ধর্ষণ ও হত্যা করে লাশ গোপনের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নের পূর্ব জয়দেবপুর (হাতিমারা) গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান ভুক্তভোগী শিশুর বাবা দিনেশ বেসরা (৩৭) ও তার পরিবার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এজাহারনামীয় ১নং আসামী ইলিজাস মার্ডি বাদীর স্ত্রীর কোল থেকে শিশু লিলিসা বেসরাকে (১৮ মাস) দোকান থেকে কিছু কিনে দেওয়ার কথা বলে কোলে তুলে নিয়ে যায়।

কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও শিশুকে ফেরত না দেওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। রাত ২টা পর্যন্ত খোঁজ চালিয়েও শিশু ও ইলিজাসকে পাওয়া যায়নি। পরে পাশের একটি বাসায় ইলিজাসকে পাওয়া গেলে তার কাছ থেকে শিশুর কোনো তথ্য না পেয়ে পুনরায় খোঁজ শুরু হয়।

পরদিন ১০ আগস্ট দুপুরে আসামীর বাড়িতে গেলে ২নং আসামী শিবলাল মার্ডি ও ৩নং আসামী জ্যাঠা মার্ডি শিশুটিকে ফেরত পেতে ১১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।

এরপর ১১ আগস্ট সকালে স্থানীয় রুপলাল মূরমু (২২) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে শাহজাহান এর পুকুরপাড় সংলগ্ন বাঁশঝাড়ে শুকনো নালার মধ্যে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান এবং বিষয়টি শিশুর পরিবারকে জানান। খবর পেয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।


পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ১নং আসামী ইলিজাস মার্ডি শিশুটিকে অপহরণের পর সহযোগী ২ ও ৩নং আসামী এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের সহায়তায় মুক্তিপণ দাবী করে। পরবর্তীতে শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার পর মরদেহ বাঁশঝাড়ে ফেলে রেখে যায়।

এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহারনামীয় ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ