স্টাফ রিপোর্টার \ দিনাজপুর সদর উপজেলার ৭নং উপ-শহর এলাকার মৃত শওকত হোসেনের কন্যা নুসরাত ইমরোজ বিথি সমাজের বিত্তবান ও সরকারি চাকুরীজিবী,ব্যবসায়ী ,এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদেরকে মিথ্যা প্রেমের ছলনা করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিনিয়ত হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই বিথির রয়েছে নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তাদেরকে দিয়ে তার এই ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন। এছাড়াও স্থানীয় সূত্রে খোঁজখবর নিয়ে আরো জানা যায় যে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে ও তার দূর সম্পর্কে আত্মীয়স্বজনের বাসা বাড়ির দেখা করার কথা বলে শহরের বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বয়সের মহিলা বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে নাটকীয় প্রেমের অভিনয় করে সেই প্রেমিকের নিকট হতে জোরপূর্বক লক্ষ লক্ষ টাকার হাতিয়ে নেওয়ার জেল খাটা মহিলা আসামি নুসরাত ইমরোজ বিধির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৪/ ১০/ ২০২৫ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার আনুমানিক ২ টা ৫ মিনিট সময় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত সদর( ১) দিনাজপুর জি/আর ৩৫১/২৫ এই মামলায় আসামি নুসরাত ইমরোজ বিথি জামিন নামঞ্জুর করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে আবারো দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে জানা গেছে । বর্তমানে মামলাটি দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে । ভুক্তভোগী জানান গত ১৫ মে ২০২৫ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার রাতে সিনিমা স্টাইলে রাতের অন্ধকারে শহরের একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে প্রেমের অভিনয় করে দিনাজপুর শহরের সুশীল সমাজের একজন ব্যক্তি কে ফাঁসিয়ে দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন সেই সাথে তিনশত টাকা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহণ করে নেন। এরকম ঘটনায় ঘটে যাওয়া কে কেন্দ্র করে নুসরাত ইমরোজ বিথির বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৫২/৩৫১ তারিখ ১৮/০৫/২০২৫ উক্ত মামলার প্রধান আসামী নুসরাত ইমরোজ বিথিকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী থানা পুলিশের একটি চৌকষ টিম। পরবর্তীতে কোতয়ালী থানার পুলিশ প্রতারক নুসরাত ইমরোজ বিথি কে আদালতে পাঠিয়ে দেন। প্রায় ১২দিন জেল হাজত বাস করার পর জেল থেকে বের হওয়ার পর পরেও আরোও বেপরোয়া ভাবে উঠেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এছাড়াও মামলার চার্জশিট সূত্রে আরো জানা যায় যে, মামলাটি সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত স্বাক্ষ প্রমাণে এমসি পর্যালোচনায় এবং ঘটনার পারিপার্শ্বীয়কতায় এজাহার নামীয় ১নং আসামী নুসরাত ইমরোজ বিথি ঘটনার উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে মামলার ঘটনাস্থলে বাদীর নিকট ৫০ হাজার টাকা হাওলাত চাইয়া উক্ত টাকা না পাইয়া বাদীর কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি, বাঁদিকে মারপিট, বাদীর ফুল প্যান্টের বাম পকেটে থাকা ৭০ হাজার টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে বাহির করিয়া নিয়া বাদীকে খুন জখমের ও বিভিন্ন রকম ভয়ভীতির হুমকি প্রদান করায় আসামি নুসরাত ইমরোজ বিথী এর বিরুদ্ধে The Penal Code 323/385/379/506
(2)/34 ধারার প্রাথমিকভাবে সত্য বলিয়া প্রতীয়মান হয়। মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অত্র মামলার অভিযোগ প্রমাণ করার স্বপক্ষে সাক্ষ্য পাওয়া গেলেও অজ্ঞাতনামা আসামিদের সনাক্ত করা, পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই।
সচেতন মহলের অভিমত, দিনাজপুর থেকে বিথির সম্পূর্ণ চক্রটি গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। যাতে করে তারা আগামীতে অন্য কারো সাথে এমন কাজ করতে না পারে এবং স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় যে, এরকম অসামাজিক মূলক কার্যক্রমে লিপ্ত থাকায় এই জেল খাটা মহিলা আসামি প্রতারক নুসরাত ইমরোজ বিথির এই ঘটনার বিষয় নিয়ে পুনরায় সঠিক ভাবে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করার পর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর (১) আদালত আসামিকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও আসামির সঠিক বিচারের জন্য আদালতের কাছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় ব্যক্তি বর্গগণ দাবি জানান।


0 মন্তব্যসমূহ